ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেড ডুবে নিহত চার শ্রমিকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে অনুদানের ঘোষণা দিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক ৷
নাহিদা বারিক জানান, বুড়িগঙ্গা নদীতে একটি নোঙর করা বাল্কহেড ডুবে ৪ জন শ্রমিক নিহত হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে নিহতের খোঁজখবর নেয়া হয়। পরে নিহতের প্রত্যেক পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে নগদ ২০ হাজার করে নগদ অর্থ প্রদানসহ দুটি করে কম্বল ও খাবার দেয়া হয়। এছাড়াও লাশগুলো বাড়িতে নিয়ে যেতে এ্যাম্বলেন্স এর ব্যবস্থা করা হয়। বুড়িগঙ্গা নদীটি কেরানীগঞ্জ থানা এলাকার সিমানা হওয়ায় সেই থানা পুলিশ আইনী প্রক্রিয়া শেষ করে লাশ গুলো পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করা হবে।
নিহতরা হলেন- পিরোজপুরের কাউখালীর চাষেরকাঠি এলাকার আব্দুর রব তালুকদারের ছেলে মোস্তফা (৫৫), পিরোজপুরের বটবাড়ির ছোট আরজি এলাকার রাশেদ হাওলাদারের ছেলে বাবু (১৮), ঝালকাঠির নলছিটির কান্দেবপুর এলাকার তৈয়ব আলীর ছেলে লুৎফর রহমান (৩৯) ও বরিশালের বানারিপাড়ার ইলুহার এলাকার মহিবুল্লাহ (৬০)।
জানা গেছে, ০৩ জানুয়ারী ২০২০ শুক্রবার ভোরে নারায়নগঞ্জের ফতুল্লায় ধর্মগঞ্জ খেয়াঘাটস্থ বুড়িগঙ্গা নদীতে বাল্কহেড দিনের আলোতে পরিষ্কার করার উদ্দেশ্য নোঙর করে রাখে। পরিষ্কার করে সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়ে তখন কোন স্থানে ছিদ্র থাকায় বাল্কহেডের ভিতর পানি প্রবেশ করে এতে বাল্কহেডের মধ্যে থাকা ৬ জনের মধ্যে ৪ জন মারা যায়। বাল্কহেডের মাস্টার সহ দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। ৪ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ডুবুরি দল। নিহত সকলেই বাল্কহেডের শ্রমিক।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আরেফিনসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।